সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এডমিশনে Subject Choice কীভাবে দেবো?

Subject Choice কীভাবে দেবো?

আগেই বলে রাখি : "অমুক ভার্সিটির অমুক ইয়ারে এত পজিশনেও এই সাব্জেক্ট পেয়েছে, তাহলে আমিও এই সাবজেক্ট পাবো" - একজনের এমন ধারণা পোষণ করা বাস্তবতা থেকে দূরে থাকা এবং বোকামির সমতুল্য। প্রকৃতপক্ষে এগুলো অনেক ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। যদি একটা ভর্তি পরীক্ষার মেরিট লিস্টের সামনের স্টুডেন্টরা ভর্তি না হয় (ভর্তি প্রক্রিয়া সমাপ্ত ঘোষণার আগে) তবে মেরিট লিস্টের পিছনের স্টুডেন্টরা মাইগ্রেশন প্রসেসের মাধ্যমে একটি সাবজেক্ট পাওয়ার সুযোগ পায়; অন্যথায় পাবে না। আর, মেরিট লিস্টের প্রথম সারির স্টুডেন্টরা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হবে কি হবে না (অন্যভাবে বলতে গেলে: মেরিট লিস্টের পিছনের স্টুডেন্টরা সুযোগ পাবে কি পাবে না) এটা প্রেডিক্ট করা যায় অন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা-রেজাল্ট-ভর্তি কবে হয়েছে সেটার উপর ভিত্তি করে।

আরো একটা কথা: এডমিশন জার্নি খুবই আনপ্রেডিক্টেবল। পূর্ব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে করা প্রেডিকশন অনেক সময় ঘটে না। তাই, একজন এডমিশন ক্যান্ডিডেটের জন্য একটা সুযোগ হাতছাড়া করা "হাতের লক্ষ্মী পায়ে ফেলা"র সমতূল্য।

এবার আসি সাব্জেক্ট চয়েজ নিয়ে। 

যারা একটা এডমিশন পরীক্ষায় ফেল করনি, তারা সবাই সাবজেক্ট চয়েস দিতে পারবে। 

সাবজেক্ট চয়েস কীভাবে দিব?

নিজের পছন্দের ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য সাবজেক্ট কে আমার চয়েস লিস্টের উপরে রাখব। এখন আমি "নিজের পছন্দের সাবজেক্ট" কে উপরে রাখব না "সবার পছন্দের প্রথম দিকে থাকা সাবজেক্ট" কে উপরে রাখব এটা সম্পূর্ণ স্টুডেন্ট এর নিজের উপর নির্ভর করে। যখন মাইগ্রেশন হয়, তখন একটা সাব্জেক্টে ফাঁকা আসন থাকার সাপেক্ষে আমার চয়েস লিস্টের বর্তমানে allotted সাব্জেক্ট থেকে অধিক প্রিয় (অর্থাৎ চয়েস লিস্টের ঐ সাবজেক্টের উপরের/প্রথম দিকের সাবজেক্ট) সাব্জেক্ট পাওয়া যায়। 

মাইগ্রেশন কি?

মাইগ্রেশন একটা মেরিট লিস্ট ও ইন্ডিভিজুয়াল চয়েস লিস্ট ভিত্তিক এলোটেড সাবজেক্ট চেঞ্জ করার "অটোমেটিক" প্রক্রিয়া। মাইগ্রেশন বুঝতে হলে নিচের এলগোরিদমে চোখ বুলিয়ে নিতে পারো:

১। প্রথমে সব স্টুডেন্টকে মেরিট লিস্ট অনুযায়ী সর্টিং করা হয় (ছোট/প্রথম থেকে বড় অনুসারে)

২। প্রত্যেক স্টুডেন্ট এর একটা করে নিজস্ব সাবজেক্ট চয়েস লিস্ট আছে।

৩। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ডিপার্টমেন্ট/সাবজেক্ট এবং প্রতি ডিপার্টমেন্টে সীমিতসংখ্যক আসন আছে।

৪। (লুপ) মেরিট লিস্টের প্রথম থেকে প্রত্যেক স্টুডেন্ট এর জন্য:

৪।ক) তার সাবজেক্ট চয়েস লিস্ট প্রথম থেকে একেক করে সাবজেক্ট চেক কর। (নেস্টেড লুপ)

৪।খ) যদি সাবজেক্টে সিট খালি থাকে তবে তাকে ঐ সাবজেক্ট দিয়ে দাও। ৪ নং ধাপ থেকে পরের মেরিট লিস্টের স্টুডেন্ট সিলেক্ট কর।

৪।গ) যদি ঐ সাবজেক্ট এ সিট খালি না থাকে তবে চয়েস লিস্টে একেক করে পরের সাবজেক্ট গুলোতে সিট খালি আছে কি না চেক কর। 

৪।ঘ) যদি চয়েস লিস্টের প্রথম থেকে একেক করে যেতে থাকলে কোনো একটা সাবজেক্ট এ সিট পাওয়া যায় তবে তাকে এখন ঐ সাবজেক্ট দাও।

৪।ঙ) যদি তার চয়েস লিস্টের কোনো সাবজেক্ট এ কোনো সিট খালি না থাকে তবে তাকে কোনো সাবজেক্ট দেওয়া সম্ভব নয়।

সাবজেক্ট চয়েস এর রেজাল্ট পাবলিশ এর পর প্রত্যেক স্টুডেন্ট এর নিজের প্রোফাইল থেকে মাইগ্রেশন অফ করার অপশন থাকে। সাধারণত, বাই ডিফল্ট সবার মাইগ্রেশন অন থাকে (যেহেতু সবাই চাইবে আমি আমার অধিক প্রিয় সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ পেতে চাই)। যদি কেউ একবার অফ করে দেয় তবে আর অন করার সুযোগ থাকে না। 

আবার ধর, কেউ তার চয়েস লিস্টের ৫ নম্বর সাবজেক্ট পেয়েছে এবং সে খুশি (হয়ত সেখানে ভর্তিও হয়ে গিয়েছে); কিন্তু মাইগ্রেশন প্রসেস চালু আছে (ভর্তি প্রক্রিয়া সমাপ্ত ঘোষনা হয়নি) এবং তার প্রোফাইলে মাইগ্রেশন অপশন চালু থাকায় কিছুদিন পর চয়েস লিস্টের ৩ নম্বর সাবজেক্ট দেওয়া হয়েছে। তখন তার আর ঐ ৫-নং সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ নাই। তাকে মাইগ্রেশন-এর মাধ্যমে পাওয়া ৩-নং সাবজেক্টেই পড়তে হবে। সে কিছুদিন আগে ৫-নং সাবজেক্ট-এ ভর্তি হলেও মাইগ্রেশন এর জন্য সে এখন ৩-নম্বর সাবজেক্টের স্টুডেন্ট, ৫-নং সাবজেক্টে পড়ার কিংবা ফেরত যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এমন হতে পারে যে আমার চয়েস লিস্টের ৫-নং সাবজেক্ট পেয়ে আমি খুশি ছিলাম কিন্ত আমার চয়েস লিস্টের ৩-নং সাবজেক্ট পেয়ে আমি এখন খুশি না। কিন্ত আর কিছুই করার নাই। নিজের প্রোফাইল থেকে মাইগ্রেশন অফ না করার গাফিলতিতে সিস্টেমের জন্য এমন ঘটনা ঘটা সম্ভব। 

এজন্য, চয়েস লিস্টে প্রথম দিকে এমন সিরিয়ালে সাজাবো যেগুলো পড়তে আমার আগ্রহ বেশি।

মাইগ্রেশন কিভাবে কাজ করে? 

একটা মাইগ্রেশন এর রেজাল্ট পাব্লিশের পর নির্দিষ্ট  কিছু দিন একটা স্টুডেন্ট কে সময় দেওয়া হয় তার ভর্তি কনফর্ম করার জন্য (ভর্তির পর সে মাইগ্রেশন অন রাখবে না অদ রাখবে সেটা পরের বিষয়)। যারা সাবজেক্ট পাওয়ার পরেও ভর্তি হয় না, ঐ সাবজেক্টে ঐ আসনগুলো ফাঁকা হয়। তখন পরের মাইগ্রেশনের জন্য উপরের ঐ এলগোরিদম(সিস্টেম) ফলো করা হয়। 

কেউ যদি ভর্তি প্রক্রিয়া সমাপ্ত ঘোষণার পর নিজের ভর্তি বাতিল করে?

তখন ঐ আসন ফাঁকা হয়; কিন্ত তা আজীবনের জন্য ফাঁকা থেকে যায়। কেননা ভর্তি প্রক্রিয়া সমাপ্ত ঘোষনা হয়ে গিয়েছে। খোঁজ নিলে হয়ত দেখবা: অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ডিপার্টমেন্টে প্রতি ব্যাচে ৪০ টা সিট আছে কিন্ত একটা ব্যাচে কন্টিনিউ করছে ২৫ জন। এর অর্থ হলো: বাকি ১৫ জন হয়ত ইয়ার লস দিয়ে জুনিয়র হয়ে গিয়েছে অথবা ভর্তি ক্যান্সেল করার জন্য ঐ আসন (ঐ রোল/আইডি নম্বর) সবসময়ের জন্য ফাঁকা থাকবে। 

এডমিশন যোদ্ধা সবার জন্য শুভকামনা 💐

কাজী রিফাত মোর্শেদ
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (৩য় বর্ষ)
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় 

Published on tbtKU : https://www.facebook.com/share/p/1833zhZgJK/

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

#TechTalk01 - better ΥΟƯΤƯВΕ νιdео dοωnlοαdея - playlist|subtitle|BDIX - windows & linux appimage

About a year ago, I found a better GUI ΥΟƯΤƯВΕ νιdео dοωnlοαdея for Linux in a GitHub repo for Linux. Sadly, that had issues but got a fork of that one which worked awesome! Platform: both Windows and Linux. Features:  Batch dοωnlοαd Subtitle dοωnlοαd (with video file) The whole playlist dοωnlοαd with ease Any Resolution, both audio and video (luckily) I got BDIX speed (accelerated speed) while using my RedNet ISP broadband in Khulna. Nice and Simple GUI Just copy and paste ΥΟƯΤƯВΕ / face book / any social media video link dοωnlοαdе links: Windows (version 2.5.4 exe): here Linux (version 2.5.4 appimage):  here Github Repo Release link:  here   Instructions: follow the instructions mentioned in the github repo (click here) For Linux, please make sure that you can install and run appimage, google it Note: I had made a video tutorial on this but got removed from ΥΟƯΤƯВΕ, so, figured out how to apply some tricks to avoid AMAP.

আমার সবথেকে প্রিয় কৌতুকঃ সাখাওয়াত হোসেনের লেখা অসাধারণ প্রেমিক

মূল পোস্টঃ  https://www.facebook.com/1733745413537978/photos/a.2195924333986748/2195924090653439

ব্লগ০০১ঃ দেশের জন্য কিছু করার উপযুক্ত সময়!

 অবশেষে সোশাল মিডিয়া ছেড়ে ব্লগিং ধরলাম। আমার নিজেরো ধৌর্য কম বলে লেখা ছোটই রাখব। এই লেখাটি যখন লেখা তখন আমার ক্যাম্পাসে পুজার ছুটির শেষে ঐকান্তিক-১৯ ব্যাচের র‍্যাগ কন্সার্ট হচ্ছে ( ২৮ অক্টোবর ২০২৩)। আজ রাতেই আমার ছুটি শেষ, এই পুজার ছুটিই ছিল আমাদের ভার্সিটি লাইফের প্রথম লম্বা ছুটি।  গতকাল পুজার অষ্টমীর দিন গিয়েছিলাম দীপ্তের গ্রামের বাড়ি, ভবদহ। ভবদহ নামটা যশোরের সবার কাছেই  পরিচিত। পূজা উপলক্ষ্যে বন্ধুদের দাওয়াত দিয়েছি। পাশাপাশি, ডাক্তার বন্ধুদের সুবাদে রমেক মেডিসিন ক্লাবের উদ্যোগে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পে উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়েছে। দিনটা ভালো লেগেছিলো কেননা বেশ কয় রাতজাগা দিন কাটানোর পর একটু গ্রাম-প্রকৃতির কাছে গিয়েছিলাম। সেদিনের অভিজ্ঞতা আমাকে কিছু একটা উপলব্ধি করতে শিখিয়েছে। আমাদেরকে একজন জিজ্ঞেস করেছিলো ব্লাড গ্রুপ চেঞ্জ হয় কি না। এর পর উপলব্ধি হল, এই সবুজ বয়সে দেশের জন্য কিছু করা দরকার। আমার ডাক্তার বন্ধুরা ডাক্তারি সেবা দিয়ে ছাত্র জীবনে দেশের সেবা করে। আমরা কম্পিউটার প্রকৌশলী হয়ে কে কম্পিউটার আর প্রযুক্তির জ্ঞান বিতরণের ক্ষেত্রে নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে পারি না ......